পোস্টগুলি

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

আগ্রা ঘরানা-তানসেনের জামাতা হাজী সুজান সাহেব তথা বচ্চে খুদাবখ্স এই ঘরানা শুরু করেন।গোয়ালিয়র ঘরানা যিনি শুরু করেন অর্থাৎ নত্থন পীর বখ্সের থেকে ইনি শিক্ষালাভ করেন।এই ঘরানার গায়করা হলেন ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁ,বিলায়েৎ হুসেন খাঁ,আলতাফ হুসেন,লতাফৎ হুসেন ও শরাফৎ হুসেন। ধ্রুপদ অঙ্গের খেয়াল,তোম্ নোম্ ব্যবহার করে আলাপ,কাওয়ালী রীতিতে বোল বানাবার নিয়ম,লয়কারি,ছোট খেয়াল এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য। কিরাণা ঘরানা-বীণকার বন্দে আলী খাঁ এই ঘরানার প্রবর্তক।গায়করা হলেন ওস্তাদ আব্দুল করিম খাঁ,আব্দুল বদীদ খাঁ।এছাড়া  করিম খাঁর ভ্রাতা আব্দুল হক্,আব্দুল গণি,আব্দুল মজিদ খাঁ। করিম খাঁর শিষ্যগণ সওয়াই গন্ধর্ব,সুুুুরেশ বাবু,শ্রীমতি হীরাবাঈ বরোদকার,শ্রীমতি গাঙ্গুবাঈ হাঙ্গল,শ্রীমতি সরস্বতী রাণে, শ্রীমতি রোশনারা বেগম,রজ্জব আলী খাঁ,বহরে বুয়া।ভাবব্যঞ্জনা,আলাপের প্রাধান্য,এক-একটি স্বরের বিস্তার এই ঘরা নার বৈশিষ্ট্য।

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ঘরানা- বিভিন্ন শিল্পীদের নিজ স্বভাব,শিক্ষা,পরিস্থিতি অনুযায়ী সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।ব্যক্তিত্বেরও প্রভাব পড়ে গান ও বাজনায়।শিল্পীদের বয়স ও অভিজ্ঞতার বাড়ার সঙ্গে পরিবেশনের রীতি ও পরিবর্তিত হয় ও আরও উন্নত হয়।গুরু-শিষ্য পরম্পরায় রীতি এক হয়।শিষ্য গুরুর শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হয় ও বিশেষ একটি রীতির প্রচলন হয়,তাকেই ঘরানা বলে।বাদ্যের ক্ষেত্রে বাজ বলে।ভারতে সাতটি ঘরানাকে প্রধান মনে করা হয়  : গোয়ালিয়র ঘরানা-নত্থন পীর বখ্স খাঁ এই ঘরানার প্রবর্তক।তাঁর দুই পুত্র কদর বখ্স ও পীর বখ্স।প্রথম জনের তিন পুত্র হস্সু,হদ্দু,নত্থু খেয়াল গায়নে পারদর্শী ছিলেন।হস্সু খাঁর শিষ্যগণ পরম্পরায় হলেন   গুলে ইমাম,মেহদী হুসেন,বালকৃষ্ণ বুয়া,বাবা দীক্ষিত,বাসুদেব যোশী।বালকৃৃষ্ণ বুয়ার শিষ্য পন্ডিত বিষ্ণুদিগম্বর পালুস্কর।পন্ডিতজির শিষ্যরা হলেন বি.এ.কুশলকর,ওঁঙ্কারনাথ ঠাকুর,বিনায়ক রাও পট্টবর্ধন। হদদু খাঁর গায়ক পুত্ররা হলেন রহমত খাঁ ও মহম্মদ খাঁ।এবং জামাতা ইনায়েৎ খাঁ,তাঁর জামাতা ও শিষ্য রামপুুরের মুস্তাক হুুুসেন।ইনি কলাবন্ত হিসাবে প্রসিদ্ধ হন।হদদু খাঁর শিষ্য ইমদাদ হুসেন,তাঁর পুত্র-শিষ্য ওয়াজিদ হুসেন এলাহাবাদ নিবাসী হন।নত্থু খাঁর শিষ্

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

আত্মার স্ফূর্তি সংঘটিত হয় সঙ্গীতের মাধ্যমে।ফলে আত্মবিকাশ ঘটে,যা মানুষের লক্ষ্য।মানুষ সেই চেষ্টাই করে।এজন্য সঙ্গীতের উদ্ভব।ঋষিগণ সঙ্গীতকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিলেন।মার্গসঙ্গীত,যা মানুষকে ভগবানের দিকে আকৃষ্ট করে,তাঁর চিন্তায় নিমগ্ন করে।পন্ডিত দামোদর মিশ্রের মতে,এই সঙ্গীত ব্রহ্মার অভিলাষ পূর্ণ করে এবং শিবের সামনে গীত হয়। আবার পৃথিবীর মানুষের মন ভালো করার জন্য দেশী সঙ্গীতের ব্যবস্থা। ভারতীয় সঙ্গীতের উদ্দেশ্য দুটোই।প্রতি স্বরকে এক এক দেবতার রূপ কল্পনা করা হয়েছে।স-পৃথিবী,র-বরুণ,গ-অগ্নি,প-সূর্য।বলতে গেলে পঞ্চতত্বকে মনে করা হয়েছে।রাগের নামকরণ করা হয়েছে দেবতার নামে।যেমন-দূর্গা,ভৈরবী,ভৈরব।শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুধু মন আনন্দিতই হয়না,মলিনতাও দূূর হয়।

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

আলাপ- আলাপের অর্থ রাগের বিস্তার।এর মাধ্যমে শ্রোতার সঙ্গে গায়ক বা বাদক রাগের পরিচয় ঘটান।এতে তাল  লাগেনা। নোম্ ,তোম্,আকার ইত্যাদি সহযোগে আলাপ করা হয়।বাদী,সমবাদী,বিবাদী স্বর বজায় রাখা হয়।ধ্রুপদ,ধামারে নোম্ ,তোম্ ব্যবহৃত হয়। খেয়ালে  আকার সহযোগে আলাপ করা হয়। ধ্রুপদে  লয়কারির ব্যবহার হয়,তাই,আলাপ বা বিস্তার হয়না।   আলাপের প্রথম ভাগ মধ্য সপ্তকের সা থেকে শুরু করে সপ্তকের পূর্বাঙ্গে ও মধ্য সপ্তকের,দ্বিতীয় ভাগে সপ্তকের উত্তরাঙ্গে ,তৃতীয় ভাগে আলাপ লয়বদ্ধ হয় ও চতুর্থ ভাগে আলাপের গতি আর একটু বাড়ে ও তিনটি সপ্তকের মধ্যে বিচরণ করে।ধ্রুপদ,ধামারে আলাপে মাঝে মাঝে সম্ দেখানো হয়।কখনো  কখনো 'নারায়ণ অনন্ত হরি'  বা  'তুহি অনন্ত হরি' ব্যবহার হয়।এরপর আলাপ শেষ হয়। হিন্দুস্তান সঙ্গীতের বৈশিষ্ট্য: বাদী স্বর সপ্তকের পূর্বাঙ্গে থাকলে সমবাদী স্বর উত্তরাঙ্গে থাকবে এবং উল্টোটা। বাদী স্বর দ্বারা রাগ পূর্বাঙ্গ ও উত্তরাঙ্গ নির্ণয় হয়। বাদী স্বরের স্থান পরিবর্তন করে সময় নির্ণয় হয়। বিবাদী স্বর অবরোহে শুধু ব্যবহার হয়। শুদ্ধ ম যুক্ত রাগ দিনে, তীব্র ম যুক্ত রাগ রাতে গাওয়া হয়। কোমল গ ও কোমল নি যুক্ত রাগ দুপুরে,মধ্

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ভাতখন্ডে স্বরলিপি পদ্ধতি : শুদ্ধ স্বর- সা রে গ ম প ধ নি কোমল স্বর- রে গ ধ নি(প্রতি স্বরের তলায় ড্যাশ চিহ্ন হবে)   কড়ি বা তীব্র স্বর-ম(মাথায় দাঁড়ি চিহ্ন হবে)। মন্দ্র সপ্তকের স্বরের নীচে বিন্দু হবে। মধ্য  সপ্তকের স্বরের চিহ্ন নেই। তার সপ্তকের স্বরের মাথায় বিন্দু হবে। প্রতি স্বর একমাত্রা হলে হবে প ধ নি সা। দুমাত্রা হলে হবে প - ধ - চারমাত্রা হলে হবে প - - - অর্ধমাত্রা হলে হবে  মধ  গরে (স্বরের নীচে তৃতীয় বন্ধনী হবে) সি কিমাত্রা  হলে হবে  গমনিধ (স্বরের নীচে তৃৃতীয় বন্ধনী হবে নৌকার মত) ১/৮ মাত্রা হলে হবে  গমপমধনিধপ (তৃতীয় বন্ধনী হবে স্বরের নীচে) তালবিভাগ  চিহ্ন "|" সম  চিহ্ন "×" ফাঁক চিহ্ন "০" তালি  চিহ্ন ২ ৩ ৪ মীড় বসে স্বরের উপর ওল্টানো নৌকার মত। স্পর্শ স্বর স্বরের মাথায় বসে। খটকা - (প)=ধপমপ। স্বরলিপি-গ  -  - -               গৈ s s s               

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

আকারমাত্রিক স্বরলিপি বৈশিষ্ট্য : সাতটি শুদ্ধ স্বর-স র গ ম প ধ ন চারটি কোমল স্বর-ঋ জ্ঞ দ ণ। একটি তীব্র বা কড়ি স্বর-ক্ষ। মন্দ্র সপ্তকের নীচে হসন্ত-ন্ ধ্ প্। মধ্য  সপ্তকের চিহ্ন নেই। তার সপ্তকের মাথায় রেফ-র্র র্গ র্ম। প্রতি স্বর একমাত্রা বলে হবে সা রা গা মা। দুটি স্বর নিয়ে একমাত্রা হলে হবে গমা। চারটি স্বর নিয়ে একমাত্রা হলে হবে পধনর্সা। একটি স্বর দুমাত্রা হলে হবে মা -আকার চিহ্ন। একটি স্বর চারমাত্রা-ধা,তিনটি ড্যাশ(-)ও তিনটি আকার চিহ্ন পরপর। তালবিভাগ বোঝাতে '|',তালের সম্ চিহ্ন বোঝাতে সংখ্যার(১,২) মাথায় রেফ,ফাঁক বোঝাতে '০',তাল বোঝাতে ৩ ৪ ৫ ইত্যাদি বসানো হয়। মীড় বোঝাতে নৌকার মত চিহ্ন স্বরের নীচে বসে। স্পর্শ স্বর মূল স্বরের মাথায় কোণে ছোট করে বসে। স্বরের নীচে গানের কথা না থাকলে লেখা হয়-মা -না -ধা।                                                                   আ ০    ০

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

  প্রাচীনকালে শাস্ত্রকাররা ব্রহ্মা,শিব,সরস্বতী ও নারদকে সঙ্গীতের উৎস রূপে কল্পনা করেছেন।ভৈরব রাগকে শিবের রূপ ভেবেছেন।পিলু রাগে রাধাকৃষ্ণ,সরস্বতী রূপ ললিত রাগে।শিবের ডমরু থেকে সঙ্গীত ও কাব্যের উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করা হয়।সঙ্গীতের মাধ্যমে  মানুুষ ভগবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছে।সঙ্গীতে সুরই প্রধান।কথার অর্থ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ না হলেও হয়। ভারতীয় সঙ্গীত আরব,পারস্য,মিশর,গ্রীস দেশে ছড়িয়ে পড়ে।তা ছিল বেদকে অনুসরণ করে তৈরি সঙ্গীত।পরে মুসলিম সংস্কৃতির প্রভাব পড়ে।আমীর খসরু ধ্রুপদের সঙ্গে পার্সী গজল মিশিয়ে খেয়াল রচনা করেন।ভারতীয় সঙ্গীতের কল্যাণ রাগের সঙ্গে পার্সী রাগ মিশ্রিত করে ইমন রাগ রচনা করেন। মিঞা গুলাম নবী ও তাঁর স্ত্রী শোরী অনেক টপ্পা গান তৈরি করেন।সনদপিয়া ও কদরপিয়া ছিলেন ঠুংরি গানের স্রষ্টা।ভারতীয় শিল্পের উদ্দেশ্য হল সমাজের কল্যাণ সাধন।বিভিন্ন ধরনের গানের মাধ্যমে ভগবানের বিভিন্ন রূপের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।তাঁর বিভিন্ন রূপের বন্দনা করা হয়েছে।