পরমেল প্রবেশক রাগ- মেল শব্দের অর্থ ঠাট।পরমেল হল পরবর্তী মেল বা ঠাট।অর্থাৎ পরমেল প্রবেশক রাগে আগের ও পরের ঠাটের,উভয়েরই স্বর বজায় রাখা হয়। প্রাচীন ভারতে আর্য ঋষিগণ সাতটি স্বরের সঙ্গীতে প্রয়োগ রীতি নির্দিষ্ট করেন এবং সঙ্গীত পরিবেশনের রীতি,তাল,ছন্দ,লয় নির্ধারণ,সঙ্গীত রচনার রীতিও নির্দিষ্ট করেন।এক্ষেত্রে ভরত,মতঙ্গ,দত্তিল প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।এই রীতি অনুসরণ করেই ধ্রুপদ,ঠুংরী,খেয়াল গাওয়া হয়।একেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বলে। প্রাচীনকালে দুরকম গীত প্রচলিত ছিল :নিবদ্ধ গান বা তালবদ্ধ গান ও অনিবদ্ধ গান বা তালহীন গান। নিবদ্ধ গান তালের সঙ্গে গাওয়া হত।ধ্রুপদ,ধামার,খেয়াল,তারানা,টপ্পা ইত্যাদি নিবদ্ধ গান।নিবদ্ধ গানের পাঁচটি ভাগ ছিল-উদগ্রাহ,মেলাপক,ধ্রুব,অন্তরা,আভোগ।এগুলি এখনকার স্থায়ী,অন্তরা,সঞ্চারী,আভোগের পুরানো রূপ। অনিবদ্ধ গানের চার প্রকার : রাগালাপ-যে আলাপ দ্বারা রাগের দশ লক্ষণ অর্থাৎ গ্রহ,অংশ,ন্যাস,মন্দ্র,তার,অপন্যাস,অল্পত্ব,বহুত্ব,ষাড়বত্ব,ঔড়বত্ব প্রকাশ পায়। রূপকালাপ-এতে শুধু সুর থাকে,ভাষা ব্যবহার হয়না।একটি বিষয় কে অন্য একটি বিষয় হিসাবে বর্ণনা করলে তাকে রূপক বলে। আলপ্তি গান-এটি এক ধরনের আলাপ,যাতে রাগের ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন