Sangeet Byakaran
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ
১৮৮১ সালে ত্রিপুরার শিবপুরে আলাউদ্দিন খাঁ জন্মগ্রহণ করেন। পিতামহ সদার খাঁ। পিতা সদু বা সাধু খাঁ সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। পিতার কাছে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু হয়। তাতে আলাউদ্দিন সন্তুষ্ট ছিলেন না বলে কলকাতায় একা চলে আসেন। সেখানে তিনি ভিক্ষা করতেন। এ সময় গোপালচন্দ্র চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি তাঁকে আশ্রয় দেন ও নন্দবাবু নামে এক ব্যক্তির কাছে তবলা ও পাখোয়াজ শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেন।স্বামী বিবেকানন্দের ভাই অমৃতলাল দত্তের কাছে বাঁশী,বেহালা ও ক্ল্যারিওনেট শেখেন। তৎকালীন সরোদ বাদক আহম্মদ খাঁর কাছে সরোদ বাদন শেখেন। আহম্মদ খাঁ তাঁকে রামপুরে রাজদরবারের বাদক উজীর খাঁর কাছে শেখার জন্য বলেন। কিন্তু তিনি দরবারে ঢুকতে প্রথমে পারেননি। সে সময় এক মসজিদে আশ্রয় নেন।সেখানকার এক মৌলবী তাঁকে বুঝিয়ে রাজার গাড়ির সামনে দাঁড়াতে বলেন।তিনি তাই করেন ও শিক্ষার সুযোগ পান।
কিন্তু এরপরও তিনি উজীর খাঁর দেখা পাননি মাসের পর মাস চলে যাওয়ার পরও।অবশেষে একদিন তিনি দেখা দেন এবং বলেন যে তিনি আলাউদ্দিনের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন। ক্রমে শিক্ষা শুরু হয়। সরোদ, রবাব,সুরশৃঙ্গার শিক্ষা করেন। উজীর খাঁর নির্দেশে আলাউদ্দিন ভারত ভ্রমণ করেন এবং মৈহর স্টেটে থাকতে শুরু করেন।মৈহর ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন বাদকদের নিয়ে।তারপর নৃত্যশিল্পী উদয়শঙ্করের দলে যোগ দেন ও আমেরিকা, ফ্রান্স, ইটালী,জার্মানী,বেলজিয়াম ভ্রমণ করেন।
আলাউদ্দিন খাঁর এক পুত্র আলী আকবর খাঁ ও এক কন্যা অন্নপূর্ণা।জামাতা পন্ডিত রবিশঙ্কর।কন্যাকে সেতার, সুরবাহার;পুত্রকে সরোদ ও জামাতাকে সেতার শেখান।আলাউদ্দিনের বাজনার রেকর্ড আছে। ১৯৭২ সালে ৬ সেপ্টেম্বার মৈহরের মদিনা ভবনে,যেখানে তিনি থাকতেন ও স্ত্রীর নামে নামকরণ করেছিলেন,মারা যান।
মন্তব্য
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন