Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran
সরোদ
মনে করা হয় যে ওস্তাদ হাফেজ আলী খাঁর প্রপিতামহ গোলাম বন্দেগী খাঁ কাবুল থেকে ভারতে আসার সময় রবাব যন্ত্রটি নিয়ে আসেন। তাঁর পুত্র ওস্তাদ গোলাম আলী খাঁ রবাবের কাঠের কাঠামোতে ধাতুর পাত ও তাঁতের জায়গায় ধাতুর তারের ব্যবহার শুরু করেন। তাই সরোদকে রবাব বা রুদ্রবীণার আধুনিক সংস্করণ মনে করা হয়। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সরোদের আকার,তার সংখ্যা বাড়িয়ে যন্ত্রটিকে শ্রুতিমধুর করেন।সেগুন বা তুঁত কাঠের নির্মিত হয়।এর নীচের অংশকে হাঁড়ি বলে।তার উপর চামড়ার আচ্ছাদন থাকে, যা তবলী বা ছাউনী নামে পরিচিত। এর উপর একটি হাড়ের ব্রীজ থাকে। হাঁড়ির একেবারে নীচের দিকে তার বাঁধার জন্য লঙ্গোট থাকে।
হাঁড়ির উপরের দিকের অংশ হল দন্ড।তার উপর স্টীলের পাত লাগানো হয়, যা পটরী নামে পরিচিত। এর উপর আঙ্গুল চালনা করে সরোদ বাজানো হয়। অন্য তারের যন্ত্রের মত পর্দা থাকে না। দন্ডের একেবারে উপরে আটটি কান বা খুঁটি থাকে।এর নীচে থাকে তারগহন,যার মধ্য দিয়ে তার নিয়ে গিয়ে বাঁধা হয় কানের সঙ্গে।
মূল তার ৮টি, চিকারীর তার ২টি,তরবের তার ১৫টি।মূল তারের ৩টি স্টীলের,যা মধ্য সপ্তকের ম,সা ও মন্দ্র সপ্তকের প তে মেলানো হয়;চতুর্থ তার পিতলের,মন্দ্র সপ্তকের সা তে মেলানো হয়;বাকী তারগুুুলি স্টীলের হয়,যা রাগের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বরে মেলানো হয়। চিকারী ও তরবের তার স্টীলের হয় ও দন্ডের পাশের ছোট অনেকগুলো কানের সঙ্গে যুক্ত থাকে।চিকারীর তার তার সপ্তকের সা তে,তরবের তার রাগের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বরে মেলানো হয়। দন্ডের একেবারে উপরে ধাতুর তুম্বা থাকে।
সরোদ বাজানো হয় নারকেল মালা দিয়ে তৈরী তিনকোণা বস্তু দিয়ে যাকে জওয়া বলে।
![]() |
চারপ্রকার বাদ্যযন্ত্রের উল্লেখ করা যেতে পারে:-
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন