Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran
ভারতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত রাগপ্রধান।প্রত্যেক রাগের পৃথক স্বরূপ আছে।তাদের পত্নীরাগ আছে,যারা রাগিণী নামে পরিচিত।পুত্র-পুত্রবধূ,কন্যা,জামাতা রাগও আছে বলে ভাবা হয়েছে।পন্ডিত গণ রাগের ৯টি ভাবের উল্লেখ করেছেন-রতি,হাস,শোক,ক্রোধ,উৎসাহ,ভয়,ঘৃণা,বিস্ময়,নির্বেদ বা বৈরাগ্য।৯টি রসের নামকরণ করা হয়েছে ঐ ভাবগুলির উপর ভিত্তি করে-আদি বা শৃঙ্গার,হাস্য,করুণ,রৌদ্র,বীর,ভয়ানক,বীভৎস,অদ্ভূত,শান্ত।এছাড়া আরও কিছু ভাব যা সঞ্চারী ভাব নামে পরিচিত-অসূয়া,অপস্মার,আলস্য,আবেশ,উদাসীনতা,উন্মাদ,ঔৎসুক্য,গর্ব,গ্লানি,চপলতা,চিন্তা,জড়তা,ত্রাস,নিদ্রা,দীনতা,বিষাদ,ব্যাধি,লজ্জা,মতি,মোহ,শঙ্কা,স্মৃতি।এগুলি মূল ভাবের সঙ্গে মিশে প্রকাশিত হয়।
এখন প্রশ্ন হল যে একটি রাগের দ্বারা কি সব রস প্রকাশিত হয়?বিভিন্ন গায়কের দ্বারা বিভিন্ন সময় পরিবেশিত হলেও কি শ্রোতার মনে এক প্রভাব ফেলে?
স্পষ্ট কোথাও বলা নেই যে রাগ অনুযায়ী সময় আলাদা আলাদা হওয়া উচিৎ।মনোবিজ্ঞান ভিত্তিক হওয়া উচিৎ।পন্ডিত গায়করা সময় অনুসরণ না করেও রাগ ভালোভাবেই পরিবেশন করতে পারেন।তবে,এটা বেশ ভালো অনুভব করা যায় যে মল্লার রাগ বর্ষা ঋতুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
শৃঙ্গার রস প্রধান রাগ-ছায়ানট,বাহার,আড়ানা,বাগেশ্রী,বেহাগ,ইমন।
বীররস প্রধান রাগ-শঙ্করা,হিন্দোল।
শান্ত রাগ-মালকোষ,জয়জয়ন্তী,দরবারী কানাড়া।
করুণা বা নৈরাশ্য-ভৈরব,ভৈরবী।
উৎসাহ-পিলু,খাম্বাজ,গারা।
ঔদাসীন্য-পুরিয়া।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন