পোস্টগুলি

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ছবি
তানপুরা:- তানপুরা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখার অপরিহার্য অঙ্গ।কথিত আছে যে তম্বরু মুনি এই যন্ত্র আবিষ্কার করেন,তাই এর নাম তম্বুরা বা তানপুরা। এর লম্বা দন্ডটি তুঁত,কাঁঠাল বা সেগুন কাঠ দিয়ে তৈরি হয়।নীচের গোলাকৃতি,ফাঁপা অংশটি,যাকে তুম্বা বলা হয়,তৈরি লাউ দিয়ে। তুম্বার উপরে পাতলা কাঠের ঢাকা থাকে,যাকে তবলী  বলে।দন্ড ও তুম্বার সংযোগস্থলকে গুলু বা কমর বলে।তুুম্বার নীচে,একেবারে শেষে চারটি ছিদ্রযুক্ত কাঠের খন্ড লাগানো থাকে,যাকে মোগরা বলে।তবলীর মাঝখানে হাড়ের তৈরি একটি ব্রীজ থাকে।জোয়ারী বলেএর উপরের সমতল অংশকে।এটি ঠিক রাখা হয় ব্রীজের উপরে সুতো লাগিয়ে তারের সঙ্গে। খুঁটির মাথায় চারটি কাঠের গোল টুকরো থাকে,একে খুঁটি বা কান বলে।এর সঙ্গে বাঁধা হয় তানপুরার চারটি তারের একপ্রান্ত। মোগরার সঙ্গে বাঁধা হয় আর এক প্রান্ত। খুঁটির নীচে দুটি হাড়ের অংশ থাকে,তাদের অটী ও তারগহন।চারটি তারের প্রথমটি পিতল বা স্টীলের তৈরি হয়। দ্বিতীয়, তৃতীয় টি স্টীলের ও চতুর্থটি পিতলের তৈরি।তারগুলি  তারগহনের ছিদ্রের মধ্য দিয়ে খুঁটিতে লাগানো হয়। এই চারটি তারের মধ্য দিয়ে চারটি মোতি লাগানো থাকে ব্রীজের নীচে,একে মনকা বলে।এগুুুলিকে সরিয়ে তানপুরার সুর

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

তাল-ছন্দবদ্ধ কিছু মাত্রা সমষ্টি হল তাল।শিবের তাণ্ডব নৃত্যের প্রথম অক্ষর 'ত' এবং দূর্গার লাস্য নৃত্যের প্রথম অক্ষর 'ল' নিয়ে তাল শব্দটি তৈরি হয়েছে। সঙ্গীতকে সুন্দরভাবে ছন্দবদ্ধ করে মুগ্ধতা আনার জন্যই তালের সৃষ্টি।তাল দুরকম:সমপদী ও বিষমপদী।  সমান মাত্রায় বিভক্ত তাল সমপদী,যথা-দাদরা,একতাল। অসমান মাত্রাবিশিষ্ট তাল হল বিষমপদী, যথা-তেওড়া,ঝাঁপতাল।  মাত্রা-সঙ্গীত বা তালের লয় মাপার একক হল মাত্রা। কয়েকটি মাত্রা সমষ্টিই তাল।সব তাল সম্ থেকে বা প্রথম মাত্রা থেকে শুরু হয়না।সম্ শব্দের অর্থ হল সঙ্গীতে তালের প্রথম উৎপত্তিস্থল অথবা তালের সমাপ্তি, যা বেশি জোরে বাজান হয়।তালের প্রথম মাত্রা সম্।সব তাল বাজানোর সময় সম্ থেকে শুরু করে সম্ এ এসে শেষ হয়।একে এক আবর্তন বলে।   লয়-সঙ্গীতের গতির যা সমতা রক্ষা করে, তাই লয়। লয় তিনপ্রকার:বিলম্বিত, মধ্য ও দ্রুত লয়। বিলম্বিত লয়ে মাত্রা বা সময় দীর্ঘ করে বাজান হয়। বিলম্বিত লয়ের দ্বিগুণকে মধ্যলয় বলে। মধ্য লয়ের দ্বিগুণকে দ্রুত লয় বলে। তালের দুই মাত্রাকে এক মাত্রার মধ্যে গাওয়া বা বাজান হলে,তাকে দ্বিগুণ লয় বলে।একভাবে তিনগুণ, চৌগুণ বাজান হয়। ঠেকা-তবলার ভাষাকে ঠেকা ব

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালীর মত।পল্লিবাসী নর-নারীর বিবাহ,মিলন,বিচ্ছেদের গান।পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভাষা ও উচ্চারণ অনুযায়ী গায়কী পৃথক। ভাটিয়ালী বাংলাদেশের গান মূলত।পশ্চিমবঙ্গেও গাওয়া হয়।মাঝিরা নৌকা বাওয়ার সময় নিজেদের পরিবার,জীবন নিয়ে গান গেয়ে থাকেন। টুসু মানভূম অঞ্চলের একটি বিশেষ পরব।এই পরব উপলক্ষে যে গান গাওয়া হয়, তাই টুসু গান।বর্ধমান,বিহারের সিংভূম, উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ-এ এ গান প্রচলিত।  বাঁকুড়া, বর্ধমান,বীরভূমের গ্রামে ভাদু উৎসব উপলক্ষে ভাদু গান গায় কুমারী মেয়েরা। গম্ভীরা গাজনের মত,একে শিবসঙ্গীতও বলা হয়। চৈত্র মাসে মালদহে এই গান গাওয়া হয়। প্রধানতঃ রাজবংশী, পোলিয়া,কোচ,নাগর প্রভৃতি আদিবাসীদের কন্ঠে এই গান শোনা যায়।  মঙ্গলকাব্য হল মনসা, চণ্ডী, শীতলা,ষষ্ঠী প্রমুখ মঙ্গল দেবীর গুণকীর্তন।খ্রীষ্টীয় ত্রয়োদশ-অষ্টাদশ শতাব্দী সময় কে মঙ্গলকাব্যের যুগ বলে।যেমন-মনসামঙ্গল,চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল,শিবমঙ্গল,অন্নদামঙ্গল, ষষ্ঠীমঙ্গল,চৈতন্যমঙ্গল।নৃত্য ও বাদ্যযন্ত্র সহযোগে বিভিন্ন রাগে নিবদ্ধ করে মঙ্গল কাব্যের গান গাওয়া হত।  চারণ বলা হত তাদের,যারা যুুদ্ধকালে বীরগাথা গেয়ে যোদ্ধাদের উৎসাহ দিত।

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

লোকসঙ্গীত: গ্রামের পূজা,উৎসাহ,গার্হস্থ্য অনুষ্ঠানে,কৃষিকাজে,নৌকা চালানোর সময়,ভিক্ষা করার সময়,ধর্মীয় অনুষ্ঠানে,পশু করানোর সময় মাঠে যেসব গান গীত হয়, তাই লোকসঙ্গীত বা লোকগীতি।একে দেশী সঙ্গীত ও বলে।শাস্ত্র ও ব্যাকরণের নিয়ম কঠিন থাকেনা এতে। ভাবসঙ্গীত-এটি প্রধানতঃ অধ্যাত্ম বিষয়ক গান,গায়কের অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশের জন্য। ভজন,শ্যামাসঙ্গীত,ব্রহ্মসঙ্গীত এর উদাহরণ।  কীর্তন-কারো প্রশংসা করে যে গান রচিত হয়, তাই কীর্তন।রাধাকৃষ্ণ লীলা বিষয়ক গান এটি।কীর্তন দুপ্রকার-নামকীর্তন ও লীলাকীর্তন।এতে ভারতীয় রাগ-রাগিণীর প্রয়োগ হয়। ১০৮ রকম তাল ব্যবহার হয়। পালাকীর্তন গাওয়ার সময় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর গুণকীর্তন বা গৌরচন্দ্রিকা গাওয়া হয়। বাংলাদেশে মনোহরশাহী,গরাণহাটি,রেণেটি,ইন্দ্রাণী,ঝাঝাড়খণ্ডী ঠাটের কীর্তন প্রচলিত।কীর্তনের গায়কীর মধ্যে রাজ্যভেদে পার্থক্য আছে,ভাব ও সুর বিশেষে।  বাউল-বাংলাদেশের একটি সম্প্রদায় বাউল।এরা যাযাবর জীবন যাপন করে। বাউল গান দেহতত্ব বিষয়ক।এই গানের  ভাষা হেয়ালীপূর্ণ।এরা মনে করেন যে দেহকে অবলম্বণ করে কামের মাধ্যমে প্রেমে উত্তীর্ণ হতে হয়। বাউলের পায়ে থাকে ঘুঙুর, ডানহাতে একতারা ও কোমরে বাঁয়া।বাউলরা

Sangeet shastra/Sangeet Byakaran

খেয়াল-এই শব্দের অর্থ স্বাধীনতা। এটি ফার্সী শব্দ।এই গান খেয়াল গাওয়া হয়।খেয়াল তিন রকম : বিলম্বিত-বড় খেয়ালকে বিলম্বিত লয়ের খেয়াল বলে।এটি মীড়,গমক,খটকা সহযোগে গাওয়া হয়। সাধারণত একতাল,ঝুমরা,তিলুয়াড়া তালে গাওয়া হয়।এটি শান্ত ও করুণ রসের হয়। স্থায়ী ও অন্তরা থাকে। ছোট খেয়াল-মধ্য ও দ্রুত লয়ের খেয়াল হল ছোট খেয়াল। সাধারণত ত্রিতাল, দ্রুত একতাল, ঝাঁপতালে গা গাওয়া হয় বিস্তার, তান,বোলতান সহযোগে। স্থায়ী ও অন্তরা থাকে।  ধ্রুপদ-এটি ভারতের প্রাচীন গান।একে ধ্রুবপদ ও বলা হয় অর্থাৎ সত্য শব্দ।আনুমানিক ৫০০ বছর আগে এর প্রচলন হয়। গোয়ালিয়রের রাজা মানসিংহ তোমরা এর প্রবর্তক। তাঁর নামে ধ্রুপদ গাওয়া হয়। আকবরের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি উৎকর্ষ লাভ করে। ধামার-এটি চোদ্দ মাত্রার বিষমপদী তাল। হোরী নামক প্রবন্ধ গান প্রধানত এই তালে গাওয়া হয়।তাই একে ধামার বলে।কলাবন্ত গায়করা বসন্ত ঋতুতে হোলির সময় এই গান গাইতেন।রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক বর্ণনা থাকে এতে।এতে মীড়, গমক, দ্বিগুণ, তিনগুণ, চৌগুণ,আড় লয় ব্যবহার হয়। তান ব্যবহার হয় না। ধ্রুপদের পরই ধামার গাওয়া হয়।  টপ্পা-এটি হিন্দী শব্দ। প্রাচীনকালে পঞ্জাবের উটপালকেরা এই গান গাইতেন। পরে লক্ষ্নৌ-এর শোরী মিঞা

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

জয়জয়ন্তী- ঠাট খাম্বাজ, জাতি সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ। সময়- রাত দ্বিতীয় প্রহর। বাদী রে,সমবাদী প।উভয় গ ও নি ব্যবহার হয়।  তিলককামোদ-ঠাট খাম্বাজ, জাতি ষাড়ব-সম্পূর্ণ। আরোহে নি বর্জিত,সময়-রাত ২য় প্রহর। বাদী রে,সমবাদী প।  সিন্ধু ভৈরবী-ঠাট আশাবরী, জাতি সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ। সময়- দিবা দ্বিতীয় প্রহর।বাদী ম(মতান্তরে কোমল  ধ),সমবাদী সা।গ,ধ,নি কোমল।  মূলতানী-ঠাট টোড়ী, জাতি ঔড়ব-সম্পূর্ণ। সময়-দিবা ৪র্থ প্রহর।রে,গ,ধ কোমল ও ম তীব্র। বাদী প,সমবাদী সা।  সুরদাসী মল্লার-ঠাট খাম্বাজ,জাতি ঔড়ব-ষাড়ব। আরোহে গ,ধ বর্জিত ও অবরোহে গ বর্জিত। উভয় নি ব্যবহার হয়। আ রোহে শুদ্ধ নি ও অবরোহে কোমল নি ব্যবহার হয়। বাদী ম,সমবাদী সা। সময় রাত ২য় প্রহর। বর্ষাকালীন রাগ। শুদ্ধ মল্লার-ঠাট বিলাবল,জাতি ঔড়ব-ঔড়ব। গ,নি বর্জিত। বাদী ম,সমবাদী সা। সময়-মধ্যরাত।সব শুদ্ধ স্বর। বর্ষাকালীন রাগ। গম্ভীর প্রকৃতির।  আলহাইয়া বিলাবল-ঠাট বিলাবল,জাতি ষাড়ব-সম্পূর্ণ। আ রোহে ম বর্জিত। উভয় নি ব্যবহার হয়। আরোহে শুদ্ধ নি, অবরোহে কোমল নি। বাদী ধ,সমবাদী গ।সময় দিবা ১ম প্রহর। শান্ত প্রকৃতির।  দূর্গা-ঠাট বিলাবল,জাতি ঔড়ব-ঔড়ব। গ,নি বর্জিত। বাদী ম,সমবাদী সা। সব শুদ্ধ স্বর ব্যব

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

রাগ পরিচয় : দেশকার-ঠাট বিলাবল, জাতি ঔড়ব-ঔড়ব। সময়-দিবা ১ম প্রহর। বাদী ধ,সমবাদী গ।ম,নি বর্জিত। গম্ভীর প্রকৃতির।সব শুদ্ধ স্বর।   শঙ্করা-ঠাট বিলাবল,জাতি ঔড়ব-ঔড়ব। সময় -রাত ২য় প্রহর। বাদী গ,সমবাদী নি।সব শুদ্ধ স্বর;রে,ম বর্জিত । হামীর-ঠাট কল্যাণ, জাতি ষাড়ব-সম্পূর্ণ। সময় রাত ১ম প্রহর। বাদী ধ,সমবাদী গ। উভয় ম ব্যবহার হয়।আরোহে প বর্জিত।  যোগিয়া-ঠাট ভৈরব,জাতি ঔড়ব-ষাড়ব। সময় প্রাতঃকাল। বাদী ম,সমবাদী সা।আরোহে গ,নি বর্জিত ও অবরোহে গ বর্জিত। করুণ প্রকৃতির।রে,ধ কোমল।  পীলু-ঠাট কাফী, জাতি সম্পূর্ণ-ষাড়ব। সময় দিবা ৩য় প্রহর। বাদী গ,সমবাদী নি।গ,ধ,নি কোমল ও শুদ্ধ নি ও ব্যবহার হয়। ভৈরবী, গৌড়ী,ভীমপলশ্রী রাগের সংমিশ্রণে এই রাগের উৎপত্তি।এ রাগে শুধু ঠুংরী ই হয়।অবরোহে রে বর্জিত।   মেঘমল্লার-ঠাট কাফী, জাতি ঔড়ব-ঔড়ব। সময় রাত ১ম প্রহর। বাদী সা,সমবাদী প। গ,ধ বর্জিত। উভয় নি ব্যবহার হয়।  সাহানা-ঠাট কাফী, জাতি ষাড়ব-সম্পূর্ণ। সময় রাত ৩য় প্রহর। বাদী প,সমবাদী সা।গ,নি কোমল।আরোহে রে বর্জিত। বারোয়া-ঠাট কাফী, জাতি ষাড়ব-সম্পূর্ণ। সময় দিবা দ্বিতীয় প্রহর। বাদী রে,সমবাদী প। উভয় গ,উভয় নি ব্যবহার হয়। আ রোহে গ বর্জিত।  দেশ-ঠাট খাম্বাজ,