Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran
লোকসঙ্গীত
ভারতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর লোকসঙ্গীতের প্রভাব রয়েছে।লোকসঙ্গীতকে সামান্য পরিবর্তন করে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত তৈরী হয়েছে। আবার উল্টোটাও হয়েছে।পন্ডিতগণ স্বীকার করেছেন যে,অনার্য ভীরবাদের লোকসঙ্গীত থেকে ভৈরব রাগিণীর উদ্ভব।আবার, আভীর জাতির সঙ্গীত থেকে আভিরী,পশ্চিম ভারতীয় গুর্জরী বা গুর্জর রাগিণী,দক্ষিণ কৌশলে ও উড়িষ্যার শবর জাতির গান থেকে সাবিরি বা শাবেরিকা সঙ্গীত। বাংলাদেশের লোকসঙ্গীত-বাউল, ভাওয়াইয়া, ঝুমুর, সারি,ভাদু,জারি,ভাটিয়ালী,চটকা,গম্ভীরা।রাজস্থানের লোকসঙ্গীত-গীরবদ্ধ,গুলং,জল্লী,ইড়াণী,বিবাহের গান ঘুুমরা,সাপুড়িয়ার গান কারভেলী,রাধাকৃষ্ণের গান কনগুজরী।এছাড়া আসামের বিহু বনগীত,বিহারের চৈতী,উত্তর প্রদেশের কাজরী ও হোরী,গুজরাটের গরবা।ভাওয়াইয়া গান জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও রংপুরের।বিরহ এই গানের বিষয়।দোতারা সহযোগে গাওয়া হয়।গম্ভীর প্রকৃতির ও ধীর লয়ের। এর একটি প্রকার হল চটকা।এটির লয় দ্রুত। দুই প্রকারেরই নায়িকা, নারী।
রংপুরের আর এক প্রকার গান হল জাগগান।রাজশাহী ও পাবনায় এ গান প্রচলিত।রাত জেগে গাওয়া হয় বলে এমন নাম।
জারিগান ময়মনসিংহে প্রচলিত। কারবালার যুদ্ধ ও বীরগাথা এর বিষয়। গায়করা নূপুর পরে,হাতে গামছা নিয়ে বৃত্তাকারে নেচে গান পরিবেশন করেন।
সারিগান পূর্ববঙ্গের বর্ষাকালের নৌকা প্রতিযোগিতার গান।জল,নৌকা, নদী,রামসীতা,শিব-পার্ব্বতী এর বিষয়।
মালদহের গান গম্ভীরা।বিষয় শিব।বছরের শেষ তিনদিন খোলা জায়গায় এই গান গাওয়া হয়।
রামসীতা চৈতী গানের বিষয়। চৈত্র মাসে গাওয়া হয়। বিরহ ও শৃঙ্গার রসাত্মক।
কাজরী গান কাজরী ব্রত উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের মহিলারা ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা তৃতীয়ার দিন সারারাত গেয়ে থাকেন। বারাণসীতে জটিল পূজা উপলক্ষেও এ গান গাওয়া হয়। শৃঙ্গার রসাত্মক গান।
ঝুমুর গান সাঁওতাল পরগণা ও ছোটনাগপুরের।মাদল ও বাঁশী সহযোগে গাওয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন