পোস্টগুলি

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

আল্লাদিয়া ঘরানা-বরোদা রাজসভার গায়ক আল্লাদিয়া খাঁ এর শুরু করেন।কথিত আছে যে তাঁর পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিলেন।মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ধর্মান্তরিত হন।আল্লাদিয়া খাঁ মহারাষ্ট্রে সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে প্রখ্যাত হন।তাঁর শিষ্যগণ শ্রীমতি কেশরবাঈ কেরকার,শঙ্কর রাও,ভাস্কর বুুয়া বখ্লে,মোঘুবাঈ কুর্দিকর,গোবিন্দ রাও তোম্বে,ভুরজি খাঁ। বৈশিষ্ট্য  হল গান জটিল,অপ্রচলিত রাগ গীত হয়,আলাপ গম্ভীর,অতি তার সপ্তকে গাওয়া হয়।ঠুংরি তেমন গাওয়া হয় না। রাগ পরিচয় : ইমন-এই রাগকে সব রাগের মা বলে।ঠাট কল্যাণ।জাতি সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ। বাদী গ,সমবাদী নি।ম তীব্র, বাকী শুদ্ধ স্বর।গাওয়ার সময় রাত্রি প্রথম প্রহর।শান্ত প্রকৃতির।  বিলাবল-ঠাট বিলাবল।শুধু শুদ্ধ স্বর ব্যবহার হয়।জাতি সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ। বাদী ধ,সমবাদী গ।গাওয়ার সময় দিবা প্রথম প্রহর। শান্ত প্রকৃতির।  ভৈরব-ঠাট ভৈরব।রে,ধ কোমল।বাকী স্বর শুদ্ধ। জাতি সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ। বাদী ধ,সমবাদী রে।গাওয়ার সময় প্রাতঃকাল।গম্ভীর প্রকৃতি। ভূপালী-ঠাট কল্যাণ। সব শুদ্ধ স্বর। ম নি বর্জিত। জাতি ঔড়ব-ঔড়ব। বাদী গ,সমবাদী ধ।সময় রাত প্রথম প্রহর। শান্ত প্রকৃতির।  খাম্বাজ-ঠাট খাম্বাজ। শুদ্ধ ও কোমল নি ব্যব

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

পাতিয়ালা ঘরানা-প্রচলিত মতানুযায়ী দিল্লীর ও জয়পুর ঘরানার সংমিশ্রণ এই ঘরানার উৎপত্তি।বড় মিঞা কালু খাঁ ও কালের খাঁ এর প্রবর্তক।বড় মিঞার দুই পুত্র আলী বখ্স ও ফতেহ আলী খাঁ প্রথমে জয়পুরের গোরখী বাঈ ও পরে দিল্লীর তানরস খাঁর কাছে  সঙ্গীত শিক্ষা করেন। ফলতঃ  তাঁদের গায়কীতে উভয় ঘরানার প্রভাব পড়ে নতুন রীতির উদ্ভব ঘটে।আলী বখ্সের পুত্র বড়ে গুলাম আলী খাঁ পাতিয়ালা ঘরানার গায়ক ছিলেন।কালে খাঁর কাছে তিনি শেখেন।এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য খেয়ালের বাণী আকারে সংক্ষিপ্ত ও লঘু।অলঙ্কার,বক্রতান,ফিরৎতান দ্রুত লয়ে প্রয়োগ হয়।এই ঘরানার ঠুংরি টপ্পা প্রভাব বেশি,একে বর্তমানে পাঞ্জাবী ঠুংরি বলে।     

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

জয়পুর ঘরানা-সদারঙ্গ শাহের পুত্র ভূপত খাঁ এই ঘরানার প্রবর্তক।তিনি মনরঙ্গ বা মহারঙ্গ নামে পরিচিত হন।এই ঘরানার গায়ক-গায়িকা আশিক আলি,গোরখী বাঈ।এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য সংক্ষিপ্ত বন্দিশ,বক্রতান,খোলা আওয়াজ।এখন এই ঘরানার প্রচলন নেই,এর থেকে পাটিয়ালা ও আল্লাদিয়া ঘরানার প্রচলন ঘটেছে। দিল্লী ঘরানা-মুুঘল আমলের শেষ ভাগে এই ঘরানার প্রচলন  করেন তানরস খাঁ।প্র সার ঘটান পুত্র উমরাও খাঁ।ওস্তাদ চাঁদ খাঁ আধুনিক সময় এই ঘরানার প্রসিদ্ধ গায়ক।দ্রুত লয়ে তান,বোলতান এর বৈশিষ্ট্য।

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

আগ্রা ঘরানা-তানসেনের জামাতা হাজী সুজান সাহেব তথা বচ্চে খুদাবখ্স এই ঘরানা শুরু করেন।গোয়ালিয়র ঘরানা যিনি শুরু করেন অর্থাৎ নত্থন পীর বখ্সের থেকে ইনি শিক্ষালাভ করেন।এই ঘরানার গায়করা হলেন ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁ,বিলায়েৎ হুসেন খাঁ,আলতাফ হুসেন,লতাফৎ হুসেন ও শরাফৎ হুসেন। ধ্রুপদ অঙ্গের খেয়াল,তোম্ নোম্ ব্যবহার করে আলাপ,কাওয়ালী রীতিতে বোল বানাবার নিয়ম,লয়কারি,ছোট খেয়াল এই ঘরানার বৈশিষ্ট্য। কিরাণা ঘরানা-বীণকার বন্দে আলী খাঁ এই ঘরানার প্রবর্তক।গায়করা হলেন ওস্তাদ আব্দুল করিম খাঁ,আব্দুল বদীদ খাঁ।এছাড়া  করিম খাঁর ভ্রাতা আব্দুল হক্,আব্দুল গণি,আব্দুল মজিদ খাঁ। করিম খাঁর শিষ্যগণ সওয়াই গন্ধর্ব,সুুুুরেশ বাবু,শ্রীমতি হীরাবাঈ বরোদকার,শ্রীমতি গাঙ্গুবাঈ হাঙ্গল,শ্রীমতি সরস্বতী রাণে, শ্রীমতি রোশনারা বেগম,রজ্জব আলী খাঁ,বহরে বুয়া।ভাবব্যঞ্জনা,আলাপের প্রাধান্য,এক-একটি স্বরের বিস্তার এই ঘরা নার বৈশিষ্ট্য।

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ঘরানা- বিভিন্ন শিল্পীদের নিজ স্বভাব,শিক্ষা,পরিস্থিতি অনুযায়ী সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।ব্যক্তিত্বেরও প্রভাব পড়ে গান ও বাজনায়।শিল্পীদের বয়স ও অভিজ্ঞতার বাড়ার সঙ্গে পরিবেশনের রীতি ও পরিবর্তিত হয় ও আরও উন্নত হয়।গুরু-শিষ্য পরম্পরায় রীতি এক হয়।শিষ্য গুরুর শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হয় ও বিশেষ একটি রীতির প্রচলন হয়,তাকেই ঘরানা বলে।বাদ্যের ক্ষেত্রে বাজ বলে।ভারতে সাতটি ঘরানাকে প্রধান মনে করা হয়  : গোয়ালিয়র ঘরানা-নত্থন পীর বখ্স খাঁ এই ঘরানার প্রবর্তক।তাঁর দুই পুত্র কদর বখ্স ও পীর বখ্স।প্রথম জনের তিন পুত্র হস্সু,হদ্দু,নত্থু খেয়াল গায়নে পারদর্শী ছিলেন।হস্সু খাঁর শিষ্যগণ পরম্পরায় হলেন   গুলে ইমাম,মেহদী হুসেন,বালকৃষ্ণ বুয়া,বাবা দীক্ষিত,বাসুদেব যোশী।বালকৃৃষ্ণ বুয়ার শিষ্য পন্ডিত বিষ্ণুদিগম্বর পালুস্কর।পন্ডিতজির শিষ্যরা হলেন বি.এ.কুশলকর,ওঁঙ্কারনাথ ঠাকুর,বিনায়ক রাও পট্টবর্ধন। হদদু খাঁর গায়ক পুত্ররা হলেন রহমত খাঁ ও মহম্মদ খাঁ।এবং জামাতা ইনায়েৎ খাঁ,তাঁর জামাতা ও শিষ্য রামপুুরের মুস্তাক হুুুসেন।ইনি কলাবন্ত হিসাবে প্রসিদ্ধ হন।হদদু খাঁর শিষ্য ইমদাদ হুসেন,তাঁর পুত্র-শিষ্য ওয়াজিদ হুসেন এলাহাবাদ নিবাসী হন।নত্থু খাঁর শিষ্

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

আত্মার স্ফূর্তি সংঘটিত হয় সঙ্গীতের মাধ্যমে।ফলে আত্মবিকাশ ঘটে,যা মানুষের লক্ষ্য।মানুষ সেই চেষ্টাই করে।এজন্য সঙ্গীতের উদ্ভব।ঋষিগণ সঙ্গীতকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিলেন।মার্গসঙ্গীত,যা মানুষকে ভগবানের দিকে আকৃষ্ট করে,তাঁর চিন্তায় নিমগ্ন করে।পন্ডিত দামোদর মিশ্রের মতে,এই সঙ্গীত ব্রহ্মার অভিলাষ পূর্ণ করে এবং শিবের সামনে গীত হয়। আবার পৃথিবীর মানুষের মন ভালো করার জন্য দেশী সঙ্গীতের ব্যবস্থা। ভারতীয় সঙ্গীতের উদ্দেশ্য দুটোই।প্রতি স্বরকে এক এক দেবতার রূপ কল্পনা করা হয়েছে।স-পৃথিবী,র-বরুণ,গ-অগ্নি,প-সূর্য।বলতে গেলে পঞ্চতত্বকে মনে করা হয়েছে।রাগের নামকরণ করা হয়েছে দেবতার নামে।যেমন-দূর্গা,ভৈরবী,ভৈরব।শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুধু মন আনন্দিতই হয়না,মলিনতাও দূূর হয়।

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

আলাপ- আলাপের অর্থ রাগের বিস্তার।এর মাধ্যমে শ্রোতার সঙ্গে গায়ক বা বাদক রাগের পরিচয় ঘটান।এতে তাল  লাগেনা। নোম্ ,তোম্,আকার ইত্যাদি সহযোগে আলাপ করা হয়।বাদী,সমবাদী,বিবাদী স্বর বজায় রাখা হয়।ধ্রুপদ,ধামারে নোম্ ,তোম্ ব্যবহৃত হয়। খেয়ালে  আকার সহযোগে আলাপ করা হয়। ধ্রুপদে  লয়কারির ব্যবহার হয়,তাই,আলাপ বা বিস্তার হয়না।   আলাপের প্রথম ভাগ মধ্য সপ্তকের সা থেকে শুরু করে সপ্তকের পূর্বাঙ্গে ও মধ্য সপ্তকের,দ্বিতীয় ভাগে সপ্তকের উত্তরাঙ্গে ,তৃতীয় ভাগে আলাপ লয়বদ্ধ হয় ও চতুর্থ ভাগে আলাপের গতি আর একটু বাড়ে ও তিনটি সপ্তকের মধ্যে বিচরণ করে।ধ্রুপদ,ধামারে আলাপে মাঝে মাঝে সম্ দেখানো হয়।কখনো  কখনো 'নারায়ণ অনন্ত হরি'  বা  'তুহি অনন্ত হরি' ব্যবহার হয়।এরপর আলাপ শেষ হয়। হিন্দুস্তান সঙ্গীতের বৈশিষ্ট্য: বাদী স্বর সপ্তকের পূর্বাঙ্গে থাকলে সমবাদী স্বর উত্তরাঙ্গে থাকবে এবং উল্টোটা। বাদী স্বর দ্বারা রাগ পূর্বাঙ্গ ও উত্তরাঙ্গ নির্ণয় হয়। বাদী স্বরের স্থান পরিবর্তন করে সময় নির্ণয় হয়। বিবাদী স্বর অবরোহে শুধু ব্যবহার হয়। শুদ্ধ ম যুক্ত রাগ দিনে, তীব্র ম যুক্ত রাগ রাতে গাওয়া হয়। কোমল গ ও কোমল নি যুক্ত রাগ দুপুরে,মধ্