পোস্টগুলি

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ছবি
মৃদঙ্গ:- এর আর একটি নাম পাখোয়াজ।এই শব্দের উৎপত্তি হিসাবে ভাবা হয় পক্ষবাজ শব্দকে।পক্ষ মানে একজোড়া ও বাজ মানে বাদ্য বা যাতে একজোড়া আওয়াজ পাওয়া যায়। মৃদঙ্গের কাঠামো লাল চন্দনের কাঠ দিয়ে তৈরি।ভিতর ফাঁপা।এর দুটি মুখ। বামদিক ১০ ইঞ্চি চওড়া, ডানদিক আট ইঞ্চি চওড়া। মৃদঙ্গ ২৪-২৬ ইঞ্চি লম্বা। দুদিকের মুখ চামড়া দিয়ে আবৃত থাকে, একে ছাউনি বা পুড়ী বলে। বাম দিকের মুখ বড়,ডানদিকের মুখ ছোট।পুড়ীর চারধারে চামড়ার যে বিনুনি থাকে তাকে গজরা বলে।ডান দিকের পুড়ীতে গাব থাকে, বাম দিকের পুুড়ীতে আটা লাগানো হয়।উভয় দিকের আওয়াজে সামঞ্জস্য সাধনের জন্য   আটার পরিমাণ বাড়ানো-কমানো হয়।উভয় দিকের গজরার মধ্য দিয়ে চামড়ার ছোট বা বদ্ধি থাকে।এর মধ্য  দিয়ে কাঠের গাট্টা লাগানো হয় সুরে সামঞ্জস্য সাধনের জন্য। 

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ছবি
আনন্দলহরী:- এটি কিছুটা ঢোলকের মত দেখতে।এর আর এক নাম খমক ও গাব্-গুবাগুব।এর খোল কাঠের তৈরি, অপরটি খোলা ও নীচের অংশ চামড়া দ্বারা আবৃত। নীচের অংশের ঠিক মাঝে ছিদ্র করে একটি গোতন্ত লাগানো হয়। এর অন্য দিকটি একটি কাঠের ভাঁড়ে লাগানো হয়।ডান হাত দিয়ে তন্তুতে আঘাত করে বাম বগলে খোলটিকে চেপে এই যন্ত্রটি বাজান হয়।         

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ছবি
এসরাজ:- এটি সেতার ও সারেঙ্গী যন্ত্রটির সংমিশ্রণে তৈরি।তাই এর দন্ড সেতারের মত ও খর্পর সারেঙ্গীর মত।দন্ড কাঠের তৈরি, তার গায়ে মুগা সুতো দিয়ে পর্দাগুলি বাঁধা থাকে। দন্ডের নীচের অংশের উপরিভাগ চামড়া দিয়ে আবৃত থাকে।একে ছাউনি বলে। তার মাঝে হাতির দাঁতের ব্রীজ থাকে।তার নীচের দিকে এসরাজের তার যোগ করার একটি অংশ থাকে,যা লঙ্গোট নামে অভিহিত।লঙ্গোটে তারের একদিক বাঁধা থাকে, অপর দিক দন্ডের মাথায় থাকা খুঁটিতে যোগ করা থাকে।পাশে কাঠের একটি ফলকে ১৫টি কান সংযুক্ত থাকে,তাতে কিছু তার বাঁধা থাকে,যা তরবের তার নামে অভিহিত। এই যন্ত্রের চারটি তার।প্রথমটি স্টিলের,মন্দ্র সপ্তকের 'ম'-তে মেলানো হয়।পরের দুইটি মন্দ্র সপ্তকের 'সা'-তে মেলানো হয়,এদের জুুড়ীর তার বলে।চতুর্থ তার পিতলের,মন্দ্র সপ্তকের 'প'-তে মেলানো হয়।ছড়ি ডান হাতে টেনে,বাঁ হাতের আঙুল দিয়ে সারেঙ্গীর মত বাজান হয়। 

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ছবি
খোল:- চামড়ার আর একটি তালবাদ্য হল খোল।চামড়ার বাদ্যযন্ত্রকে অবনদ্ধ বাদ্য বলা হয়।পোড়া মাটি দিয়ে এর কাঠামো তৈরি হয়।মধ্যভাগ স্ফীত,দুই দিক ঢালু হয় ও চামড়া দ্বারা ঢাকা থাকে।মাঝখানে গাব থাকে তবলার মত।এর বাঁদিকে বাঁয়ার মত আওয়াজ হয়।পরিধি ৭-৮ ইঞ্চি হয়।ডানদিকের পরিধি ৩-৪ ইঞ্চি হয়।উভয় দিক চামড়ার বদ্ধি দিয়ে বাঁধা থাকে।তবলার মত এতে সুর মেলানোর প্রয়োজন হয় না। কীর্তন, ভক্তিগীতি, কীর্তনাঙ্গের রবীন্দ্রসঙ্গীতে খোল বাজে।  

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ছবি
তবলা:- ভারতীয়  সঙ্গীতে তালবাদ্য বা চামড়ার বাদ্যযন্ত্রে,তবলাই প্রধান।ডান হাতে বাজান হয় যেটি,সেটি তবলা।বাঁয়া বা ডুগি বলা হয় তাকে,যেটি বাঁ হাতে বাজান হয়। বাঁয়ার কাঠামো তৈরি হয় মাটি,তামা,পিতল,সীসা দিয়ে।একে হাঁড়ি বা কুঁড়ী বলে।এর ভিতর ফাঁপা,চামড়া দিয়ে মুখ ঢাকা থাকে।একে ছাউনি বা পুড়ী বলে। উপরে গোল কালো অংশটিকে গাব বা স্যাহী বলে।পুড়ীর চারদিকে এক ইঞ্চি চামড়ার পট্টিকে চাঁটি বা কিনার বলে।পুড়ীর চারধারে চামড়ার যে বিনুনী থাকে তাকে গজরা বা পাগড়ী বলে।গাব ও চাঁটির মাঝের অংশকে ময়দান বা লব বলে।    পুড়ী কষার জন্য কিছু বাঁয়াতে পিতলের আংটির মত ডোরি লাগানো থাকে,কিছুতে চামড়ার বদ্ধি লাগানো হয়।এই বদ্ধি বা ছোট হল চামড়ার সরু ফিতের মত,যা গজরা বা গুড়রীর মধ্য দিয়ে লাগানো হয়।বাঁয়ার নীচে চামড়ার মালার মতো অংশকে গুড়রী বা বেষ্টনী বলে। তবলা কাঠামোকে কাঠ বা লকড়ী বলে।এটি তৈরি হয় আম,কাঁঠাল, চন্দন, নীম,শীষম কাঠ দিয়ে। এর ভিতর ফাঁপা। উচ্চতা এক ফুট।বাকী বৈশিষ্ট্য সব বাঁয়ার মত।বদ্ধির মধ্যে দুই ইঞ্চি লম্বা কাঠের আটটি গোল টুকরো লাগানো থাকে,তাকে গুলি বা গাট্টা বলে।এগুলি ঠুকে ঠুকে সুর মেলানো হয়।  

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ছবি
তানপুরা:- তানপুরা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখার অপরিহার্য অঙ্গ।কথিত আছে যে তম্বরু মুনি এই যন্ত্র আবিষ্কার করেন,তাই এর নাম তম্বুরা বা তানপুরা। এর লম্বা দন্ডটি তুঁত,কাঁঠাল বা সেগুন কাঠ দিয়ে তৈরি হয়।নীচের গোলাকৃতি,ফাঁপা অংশটি,যাকে তুম্বা বলা হয়,তৈরি লাউ দিয়ে। তুম্বার উপরে পাতলা কাঠের ঢাকা থাকে,যাকে তবলী  বলে।দন্ড ও তুম্বার সংযোগস্থলকে গুলু বা কমর বলে।তুুম্বার নীচে,একেবারে শেষে চারটি ছিদ্রযুক্ত কাঠের খন্ড লাগানো থাকে,যাকে মোগরা বলে।তবলীর মাঝখানে হাড়ের তৈরি একটি ব্রীজ থাকে।জোয়ারী বলেএর উপরের সমতল অংশকে।এটি ঠিক রাখা হয় ব্রীজের উপরে সুতো লাগিয়ে তারের সঙ্গে। খুঁটির মাথায় চারটি কাঠের গোল টুকরো থাকে,একে খুঁটি বা কান বলে।এর সঙ্গে বাঁধা হয় তানপুরার চারটি তারের একপ্রান্ত। মোগরার সঙ্গে বাঁধা হয় আর এক প্রান্ত। খুঁটির নীচে দুটি হাড়ের অংশ থাকে,তাদের অটী ও তারগহন।চারটি তারের প্রথমটি পিতল বা স্টীলের তৈরি হয়। দ্বিতীয়, তৃতীয় টি স্টীলের ও চতুর্থটি পিতলের তৈরি।তারগুলি  তারগহনের ছিদ্রের মধ্য দিয়ে খুঁটিতে লাগানো হয়। এই চারটি তারের মধ্য দিয়ে চারটি মোতি লাগানো থাকে ব্রীজের নীচে,একে মনকা বলে।এগুুুলিকে সরিয়ে তানপুরার সুর

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

তাল-ছন্দবদ্ধ কিছু মাত্রা সমষ্টি হল তাল।শিবের তাণ্ডব নৃত্যের প্রথম অক্ষর 'ত' এবং দূর্গার লাস্য নৃত্যের প্রথম অক্ষর 'ল' নিয়ে তাল শব্দটি তৈরি হয়েছে। সঙ্গীতকে সুন্দরভাবে ছন্দবদ্ধ করে মুগ্ধতা আনার জন্যই তালের সৃষ্টি।তাল দুরকম:সমপদী ও বিষমপদী।  সমান মাত্রায় বিভক্ত তাল সমপদী,যথা-দাদরা,একতাল। অসমান মাত্রাবিশিষ্ট তাল হল বিষমপদী, যথা-তেওড়া,ঝাঁপতাল।  মাত্রা-সঙ্গীত বা তালের লয় মাপার একক হল মাত্রা। কয়েকটি মাত্রা সমষ্টিই তাল।সব তাল সম্ থেকে বা প্রথম মাত্রা থেকে শুরু হয়না।সম্ শব্দের অর্থ হল সঙ্গীতে তালের প্রথম উৎপত্তিস্থল অথবা তালের সমাপ্তি, যা বেশি জোরে বাজান হয়।তালের প্রথম মাত্রা সম্।সব তাল বাজানোর সময় সম্ থেকে শুরু করে সম্ এ এসে শেষ হয়।একে এক আবর্তন বলে।   লয়-সঙ্গীতের গতির যা সমতা রক্ষা করে, তাই লয়। লয় তিনপ্রকার:বিলম্বিত, মধ্য ও দ্রুত লয়। বিলম্বিত লয়ে মাত্রা বা সময় দীর্ঘ করে বাজান হয়। বিলম্বিত লয়ের দ্বিগুণকে মধ্যলয় বলে। মধ্য লয়ের দ্বিগুণকে দ্রুত লয় বলে। তালের দুই মাত্রাকে এক মাত্রার মধ্যে গাওয়া বা বাজান হলে,তাকে দ্বিগুণ লয় বলে।একভাবে তিনগুণ, চৌগুণ বাজান হয়। ঠেকা-তবলার ভাষাকে ঠেকা ব