পোস্টগুলি

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

  স্বর- শ্রুতিমধুর ধ্বনি ই সঙ্গীতে স্বর নামে পরিচিত।স্বর সঙ্গীতের অপরিহার্য বিষয় ও প্রাণস্বরূপ।সঙ্গীতের রাগ ও অলঙ্কার প্রকাশ করার উপযোগী শব্দ হল স্বর। স্বর দুপ্রকার-শুদ্ধ বা প্রাকৃত ও বিকৃত স্বর। শুদ্ধ স্বর দুপ্রকার-চল ও অচল স্বর।চল স্বর-সা ও প ছাড়া বাকীগুলি অর্থাৎ রে গ ম ধ নি।এই স্বরগুলি বিকৃত হয়।অচল স্বর হল সা ও প।এরা বিকৃত হয়না। বিকৃত স্বর ও দুপ্রকার-কোমল ও তীব্র।কোমল স্বর-ঋ(রে),জ্ঞ(গ),দ(ধ),ণ(নি)।তীব্র বা কড়ি হল ক্ষ (ম)। সাতটি শুদ্ধ ও পাঁচটি বিকৃত মিলিয়ে মোট বারোটি স্বর সঙ্গীতশাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়।

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

শ্রুতি- অসংখ্য নাদের মধ্যে যে নাদগুলি পৃথকভাবে স্পষ্ট শোনা যায়,তাই শ্রুতি।মোট বাইশটি শ্রুতি সঙ্গীতশাস্ত্রে প্রচলিত-তীব্রা,কুমুদ্বতী,মন্দা,ছন্দোবতী-এই চারটি শ্রুতির উপর 'সা'(ষড়জ)স্বরটি প্রতিষ্ঠিত;দয়াবতী,রঞ্জনী,রক্তিকা-এগুলির উপর 'রে'(ঋষভ)প্রতিষ্ঠিত;রৌদ্রী,ক্রোধী-র উপর 'গা'(গান্ধার)প্রতিষ্ঠিত;বজ্রিকা,প্রসারিণী,প্রীতি,মার্জনী-র উপর 'মা'(মধ্যম);ক্ষিতি,রক্তা,সন্দিপিনী,আলাপিনী-র উপর 'পা'(পঞ্চম);মদন্তী,রোহিনী,রম্যা-র উপর 'ধা'(ধৈবত);উগ্রা,ক্ষোভিনী-র উপর 'নি'(নিষাদ) প্রতিষ্ঠিত।

Sangeet Shastra/Sangeet Byakaran

ধ্বনি-   সঙ্গীতের সৃষ্টি হয়েছে ধ্বনি থেকে।ধ্বনির সৃষ্টি হয়েছে দুটি জিনিসের সংঘর্ষের ফলে উৎপন্ন তরঙ্গ থে কে।এই তরঙ্গ আমরা শুনতে পাই ধ্বনি হিসাবে। ধ্বনি দুপ্রকার-মধুর ও কর্কশ। নাদ- নাদের অর্থ শব্দ,সূক্ষতম শব্দের কম্পন।নাদ দুপ্রকার-আহত ও অনাহত। আহত নাদ বক্ষ,কন্ঠ,তালু পেরিয়ে শব্দরূপে কন্ঠে প্রকাশ পায়।এটি ব্যক্ত নাদ।আহত নাদ দু প্রকার-বর্ণাত্মক ও ধ্বন্যাত্মক।বর্ণাত্মক নাদ কন্ঠে প্রকাশ পায়।ধ্বন্যাত্মক নাদ দুটি জিনিসের আঘাতের ফলে উৎপন্ন হয়।এক্ষেত্রে বাদ্যযন্ত্রের শব্দ উল্লেখযোগ্য। অনাহত নাদ অব্যক্ত,গুপ্ত।বিনা আঘাতে উৎপন্ন হয়।সিদ্ধব্যক্তিরা এই নাদ সাধনা করে মোক্ষপ্রাপ্ত হন।